যৌন শক্তি ফিরে পেতে সেরা ১৭ টি উপায় জানুন

পারিবারিক জীবনের অন্যতম আনন্দ হল যৌনতা। এটা অস্বীকার করা যায় না যে একটি সুন্দর ও সুখী পারিবারিক জীবনের জন্য যৌনতা অপরিহার্য। কিন্তু অনেকেরই কিছুক্ষণ পর যৌন ইচ্ছা কমে যেতে শুরু করে। এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। ফলে দাম্পত্য জীবনে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা। 

যৌন শক্তি ফিরে

তবে কিছু পুষ্টিকর খাবার ও ভেষজ উদ্ভিদ যা আপনার শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রেখে আপনার এন্ডোক্রাইন সিস্টেমকে সচল রাখে।এন্ডোক্রাইন ফাংশন হল শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন তৈরি করা এবং এই ইস্ট্রোজেন টেস্টোস্টেরন যৌন ইচ্ছা কে উদ্দীপিত করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জেনে নিন সেই ১০ টি খাবার যা আপনার যৌন জীবনকে সতেজ রাখে ।

১। পালং শাক

পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ায় । জাপানি গবেষকদের মতে, শরীরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে যৌন উত্তেজনা বাড়ে। পালং শাক এবং অন্যান্য সবজি, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি এবং বাঁধাকপিতে ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।

২। রসুন

রসুনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। রসুন ব্রুন নিরাময় করে, ঋতুস্রাব চালু করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক করে , পেট ফাঁপা দূর করে, অলসতাই শক্তি বাড়ায়, বীর্য ঘন করে, পেটের উন্নতি করে এবং গ্রন্থির ব্যথা, হাঁপানি এবং কম্পনে কার্যকর।

৩। তৈলাক্ত মাছ

তৈলাক্ত মাছের রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য খুবই উপকারী। লবণাক্ত পানির মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে ডোপামিনের মাত্রা বাড়ায় এবং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে। চর্বিযুক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোন নিঃসৃত হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।

৪। ডিম

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা শীর্ষে রয়েছে ডিম। ডিম যৌন কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। ডিম ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ, যা হরমোনের মাত্রা ভারসাম্য রাখতে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

৫। আপেল

পুরুষদের প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া উচিত। এটি প্রজনন অঙ্গের রক্ত সরবরাহ গড়ায় এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি আপেল পাওয়া যায়।

৬। দুধ

প্রাণিজ চর্বি সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌন জীবনকে উন্নত করে। আপনি যদি আপনার শরীরে সেক্স হরমোন বাড়াতে চান তবে দুধ পান করতে ভুলবেন না।

যৌন শক্তি ফিরে

৭। কলা

কলা শুধু পুষ্টি বাড়ায় না, যৌন ইচ্ছা বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা যৌন মিলনের সময় শক্তি যোগায় এবং রিবোফ্লেভিন, যা শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শুক্রাণুর গুণগত মান উন্নত করে শরীরকে সুস্থ রাখে।

৮। বিট

যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য, বীট প্রতিদিন খাওয়া উচিত। সালাতের সাথে বিট নিয়মিত খেলে প্রচুর পরিমাণ নাইট্রেট প্রবেশ করে।

৯। বাদাম

সমস্ত ধরনের বাদাম চর্বি এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ, যা শরীরের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং বীর্যের গঠন এবং ঘনত্বকে উৎসাহিত করে। বাদাম, গাছের বাদাম, চিনা বাদাম, কাজু এবং পেস্তা খাওয়া ভালো।

১০। চেরি

ডায়েট চায়ে চেরি ফল যোগ করুন। চেরি অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ, যা ধমনীতে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। এইভাবে প্রতিদিন চেরি খাওয়া পুরুষের যৌনাঙ্গের কার্যকারিতা উন্নত করে।

ভেষজ উদ্ভিদ আপনার যৌন জীবনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।


১১। হাতিশুর গাছ

আপনারা অনেকেই হয়তো হাতিশুর এই গাছটি দেখেছেন বা এর নাম শুনেছেন। কিন্তু হাতিশুর গাছের ঔষধ গুণ জানেন কি? আপনি যদি না জানেন, আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। হ্যাচিশোল উদ্ভিদ মাথার উপরের দিকে বাঁকা কাণ্ডে সাদা ফুল দেয়। সাধারণত এই ফুল হাতির দাঁতের মতো বাঁকানো হয় । এই উদ্ভিদের ফুলের দৈর্ঘ্য প্রায় 10 থেকে 50 সেমি। বৈজ্ঞানিক নাম Heliotropium indicum এবং ইংরেজিতে বলা হয় Indian Heliotrope ।

হাতিশুর উদ্ভিদের ঔষধি গুণাবলী

পৃথিবীতে অনেক গাছপালা আছে যেগুলোর বিভিন্ন ঔষধি গুণ রয়েছে। কিন্তু গাছ সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানিনা। একটা বাংলা প্রবাদ- আছে চিনলেই বাড়ি না চিনলেই খড়ি। তাই আমরা এই গাছের ছয়টি ঔষধি গুন সম্পর্কে আলোচনা করব।

১। হাতিশুর গাছের মূল খেলে বীর্য ঘন হয় এবং যৌন মিলন দীর্ঘায়ু হয়।

২। শরীরের কোথাও একজিমা হলে হাতিশুর নামক এই গাছের পাতার রস নিয়ে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। আশা করি সাফল্য পাবেন।

৩। জ্বর, সর্দি, কাশির মত উপসর্গ দেখা দিলেন হাতিশুর এর মূল কিছুক্ষণ গরম পানিতে ফুটিয়ে পান করলে এসব রোগ সরে যায়।

৪। শরীরের ক্ষতস্থানে হাতিশুর গাছের শিকড় লাগালে তাৎক্ষণিক ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সহবাসের আগে হাতিশুর গাছের শিকড় সেবন করুন।

যৌন শক্তি ফিরে

হাতিশুর গাছ যৌন মিলনের জন্য খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। প্রতিদিন সকালে এই গাছের এক ইঞ্চি শিকড় এবং পান, মধু করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি সেক্সের অন্ততপূর্ণ মিনিট আগে এই উপাদানগুলো খেতে পারেন, তাহলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। তবে মনে রাখবেন, আপনার কখনোই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি খুব বেশি খান তবে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। হাতিশুর এর শিকড় নিয়মিত সেবন করুন আপনি আরোগ্য লাভ করবেন।

১২। শিমুল গাছ

শিমুল শিকড়ের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক উপকারিতা রয়েছে। শিমুল গাছ আমাদের অতি পরিচিত একটি গাছ। আমরা মূলত এই কাজ থেকে তুলা সংগ্রহ করি। শিমুল তুলা সবচেয়ে ভালো মানের এবং বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। শিমুল তুলার চাহিদা যেমন রয়েছে, তেমনি শিমুল শিকড়েরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শিমুল গাছ একটি ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। আমাদের আমাদের দেশের সব অঞ্চলেই এই গাছ দেখা যায়।

 এই গাছটি বেশ লম্বা হয় এবং এর ফুল খুব সুন্দর হয়। বসন্তে গাছগুলো ফুলে ফুলে ঢেকে যায়। এই ফুল থেকে খুব উন্নত মানের তুলা উৎপাদন করে। যাইহোক, শিমুল মূলের যে ভাবে ঔষধি তৈরি হতো ঠিক এখনো আরো অধিক পরিমাণে যৌন শক্তি বর্ধক হিসেবে তৈরি করছে । চলুন দেখে নেওয়া যাক শিমুল মূলের ঔষধি গুণ।

শিমুল মূলের উপকারিতা

এটি শুধু যৌন কর্মক্ষমতা বাড়ায় না বরং বীর্য ঘন করে। অনেক পুরুষের বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কম। এর প্রধান কারণ হলো তাদের বীর্যের শুক্রাণু পরিমাণ অনেক কম । অতএব আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করলেও কোন সন্তানের জন্ম হবে না। শিমুল বীর্যের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এই মূলের গুঁড়ো নিয়মিত সেবনে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং সন্তান হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কিছু অতিরিক্ত সুবিধা আছে জেনে নিন।

১। অনেক পুরুষ আছেন যারা তাদের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘ সময় ধরে যৌন মিলন করেন না। এতে স্ত্রীর হৃদয়ে সব সময় কষ্ট থেকে যায়। আর জীবন হতাশ হয়ে পড়ে যায়। এর প্রধান কারণ পুরুষের বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়া। আর বীর্য পাতলা হলে নারী বেশিখন সহবাস করতে পারে না । শিমুল মূল এই কঠিন সমস্যার সমাধান করে। কারণ নিয়মিত শিমুল মূল, তেতুলের বীজের গুঁড়া এবং অশ্বগন্ধ একসঙ্গে সেবন করলে এই সমস্যার সমাধান হয়। এটি মহিলাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য যৌন মিলন করতে দেয়।

২। আগেই বলা হয়েছে যে এটি সেবন করলে পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়। এবং এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ দেখায়।

৩। অনেকের রক্ত আমাশয় হয়। আর এই থেকে পরিত্রাণ পেতে শিমুল মূল চূর্ণের সাথে ছাগলের দুধ পান করতে হবে । কয়েকদিন খেলে ভালো হয়ে যায় ।

৪। মাঝে মাঝে আমাদের ফোড়া দেখা দেয়। আর সেই যন্ত্রণা দূর করতে আরও বেশি কষ্ট লাগে। তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে শিমুলের মূল ক্ষতস্থানে লাগালে শীঘ্রই কাজ করবে।

৫। মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় রক্তপাত হয়। আর শিমুলের মূল খেলে রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

৬। এটি মেছতা ও উদারময় রোগ দূর করে থাকে।

7. শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন দুর্বলতা উভয় দূর করতে প্রতিদিন এই চূর্ণের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ করে। এতে বলা যায় শিমুল মূলের উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।

১৩। লজ্জাবতী 

যদিও লতাটি একটি লাজুক গুল্ম যা মাটিতে জন্মায়, এই লতাটির অবিশ্বাস্য ভাবে বাঁকা, নিম্নমুখী কাটা রয়েছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এটা লতা যেখানে বাস করে সেখানেই সাপ আক্রমণ করে না , কিন্তু এটা দেখার মত । এই লজ্জাবতী লতা উত্তর বঙ্গে এবং আসামে প্রচুর আছে। পাতার বোটা এক থেকে দেড় ইঞ্চি লম্বা হয়, পাতাগুলি বিপরীতভাবে নেমে এসে জুড়ে যায়, মনে হয় যেন করজোড় করেছে তাই এর নাম কর পত্রাঞ্জলি।

 ডালপালা দুই থেকে তিন ইঞ্চি লম্বা, ফুল তুলা, নরম , ফ্যাকাসে লাল, এবং ডালপালা পাতার গড়া থেকে বেরিয়ে আসে। ফুল ও ফল সারা বছর ধরে দেখা যায়, তবে সাধারণত জুলাই এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ । প্রত্যেকটিতে তিন থেকে চারটি বিষ থাকে, যা ছোট ধূসর কাটা তৈরি করে। এটার বৈজ্ঞানিক নাম Mimosa pudica linn। ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয় মূল ও সমগ্র লতা পাতা।

বিভিন্ন যৌন সমস্যায় লজ্জাবতীর ব্যবহার

লজ্জাবতী লতার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। প্রায় সব ধরনের যৌন রোগের সমাধানের লজ্জাবতীর রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা। লজ্জাবতীর এই গুণটি বিভিন্ন যৌন রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয়।

১। স্ত্রী যৌনাঙ্গের ক্ষত সারাতে

এটার প্রাথমিক স্তর মাঝে মাঝে অথবা প্রায় রোজই অল্প অল্প স্রাব চলতেই থাকে, এটা আশটে গন্ধ, কখনো বা একটু লালচে স্রাব, এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসক সাবধান করে থাকেন এটার পরিণামে ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে। এইরকম ক্ষেত্রে দুধ জলে সিদ্ধ করা লজ্জাবতীর নিজাস দিয়ে যৌন পথ ধুলে তাড়াতাড়ি ক্ষত সেরে যায় ।

২। যৌনাঙ্গের শিথিলতা সরায় লজ্জাবতী

বেশ কিছু শিশুর জন্মের পর জরায়ুর মুখে ঝুলে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে, লজ্জাবতীর রসই বেশিরভাগই নিরাময় করে। এই লজ্জাবতীর রস একমাত্র সেবনের পর এর গাছের পাতা থেকে প্রাপ্ত তেলে একটি রাগ ভিজিয়ে যৌনি প্লাগ তৈরি করলে যৌনাঙ্গের শিথিলতা দূর হয়।

৩। পুরুষাঙ্গের শৈথিল্য

লজ্জাবতী বীজ দিয়ে তৈরি তেল লাগিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করলে পেনিস শক্ত ও দৃঢ় হয়। স্বাভাবিক উত্তেজনা ফিরে আসে।

৪। আধার যৌন ক্ষত

এই বিচিত্র রোগটি কৃষ্ণপক্ষে বৃদ্ধি পায় এবং শুক্র-পক্ষে শুক্রে থাকে, এই ক্ষত সাধারণত হাঁটুর নিচে বা কুঁচকির দুই পাশে থাকে। এই ক্ষেত্রে গাছের দশ গ্রাম এবং পাতা জলের সিদ্ধ করে, এই রস দিয়ে মুছে ফেলতে হবে, এর ফলে সমস্যাটি চলে যাবে।

৫। রমণায় অতৃপ্তি

কিছু সন্তানের জন্মের পর যৌনপথ খুব শিথিল হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে, নির্যাস স্প্রে করে, আর গাছের পাতা সিদ্ধ নির্যাস দিয়ে তৈরি তেলের কাপড় ভিজিয়ে যৌন দ্বারে প্রবেশ করান। এতে ভালো ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও অন্ডকোষের পানি জমা সরাতে পাতার পেস্ট ব্যবহার করা হয়।

১৪। কালোজিরা

খাবারের বিভিন্ন স্বাদ যোগ করতে আমরা প্রায় কালোজিরা ব্যবহার করি। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কালোজিরা ব্যবহার শুধু খাবারের নতুন স্বাদ যোগ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়? বরং এর রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। কালোজিরা রোগ নিরাময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে ফসফেট, আয়রন, ফসফরাস প্রভৃতি উপাদান রয়েছে যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচায়।

দেহের প্রাণ শক্তি বাড়ায়, যৌনক্রিয়া বাড়ায়, এবং ক্লান্তি দূর করে। তাই মানব দেহের বিভিন্ন রোগের প্রতিশোধক ও প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। তাহলে জেনে নিন কালোজিরার উপকারিতা।

১। যৌন দুর্বলতা

কালোজিরার গুড়া ও অলিভ অয়েল, ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস এবং 200 গ্রাম খাঁটি মধু মিশিয়ে সকালে খাবারের পর এক চামচ সেবন করুন। এতে গোপন শক্তি বাড়বে।

২। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

কালোজিরা নারী ও পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন খাবারের সাথে কালোজিরা খেলে পুরুষদের স্প্যাম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এতে পুরুষ হীনতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগও তৈরি হয়।

৩। যৌন সমস্যার সমাধান করে

কালোজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুরুষ ও মহিলাদের যৌন সমস্যা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন খাবারের সাথে কালোজিরা খেলে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা দূর হয়। উপরোক্ত ফলের জন্য ১ চা চামচ মাখন,১ চা চামচ অলিভ অয়েল এবং সহপরিমাণ কালোজিরা এবং মধু ৪ থেকে ৫ সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন তিন বেলা খাবেন। এতে আপনি উপকার পাবেন।

১৫। লবঙ্গ

লবঙ্গ কে সাধারণত মসলা বলা হয়। মূলত লবঙ্গ গাছের ফুল শুকিয়ে যে অংশ তৈরি হয় তাকে কনেশন বা লং লবঙ্গ বলে। ইউজেনল নামক পদার্থের কারণে লবঙ্গ সুগন্ধ। এটি যৌগের জীবননাশক ও বেদনা নাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দাঁত, পেট, ও মাথা ব্যথা, সর্দি কাশি ও কালার থেরাপি এমনকি যৌন সমস্যার চিকিৎসায় লবঙ্গ বা লং এর কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করা হলো।

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

১। লবঙ্গ একটি অ্যাফো্ডিসিয়াক । এর সুগন্ধ শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে। কাম শক্তি বাড়াতে লবঙ্গ খুবই কার্যকরী। ধূমপান, অ্যালকোহল পান এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের মত জীবন ধারার কারণগুলি পুরুষদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। এর মানে শুক্রাণু উৎপাদন কঠিন। পুরুষের স্বভাবে ঘুর্বুরতা বজায় রাখতে ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

গবেষকরা বলেছে লবঙ্গে শক্তিশালী আন্টি অক্সিডেন্ট প্রভাব রয়েছে ফ্রি রা ডিকেলর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং প্রজন্ম অঙ্গকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এটি শুক্রানুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শুক্রাণুর গুণগতমান এবং শক্তিশালী তা উন্নত করে।

২। লবঙ্গে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড , অ্যালকালয়েড এবং স্যাপোনিন যৌন ইচ্ছা লিবিডো বাড়াতে সাহায্য করে। যৌন ক্ষমতা এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে এবং অকাল বীর্যপাত রোধ করতে বহু শতাব্দী ধরে লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে। লবঙ্গ স্বনতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে এবং যৌন উত্তেজনা ও ইচ্ছা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৩। নিয়মিত দুইটি করে লবঙ্গ খেলে তা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। শুক্রাণুর সংখ্যার বৃদ্ধির পাশাপাশি, লবঙ্গ শুক্রাণুর গুণগতমান উন্নত করতে পারে।

১৬। জবা ফুল

জবা একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ফুল। এগুলি গোলাপি, সাদা, লাল এবং হলুদ সহ বিভিন্ন রঙে আসে। কিন্তু প্রায়ই লাল জবা আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। জবা বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করে আমাদের জীবন বাঁচায়। তবে এই জবা শুধু স্বাস্থ্যের জন্যও নয়, সৌন্দর্যের জন্যও ভালো। গবেষকরা বলেছেন, স্বাস্থ্যকর ভেষজ হিসেবে হিবিস্কাস ও জবা ফুল সব দিক থেকে নিরাপদ। কম যৌন ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের যৌন শক্তি বাড়াতে এই জবা খুবই কার্যকরী।

১। যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে জবা ফুল

জবা ফুলের চা বানিয়ে, সবজি হিসেবে আরো অনেক উপায়ে জবাব ফুল খেতে পারেন। এতে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় ও স্থায়িত্ব বাড়ে।

১৭। পেঁয়াজ

আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অনিয়মিত বা অনিয়মিত খাদ্য ভাসে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ মানুষের যৌন জীবনকে প্রভাবিত করে। আর উদ্যোগ জনক বিষয় হলো এই সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক বা যৌন জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। এটা প্রায় লক্ষ্য করা গেছে যে বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকেই যৌনতা নিয়ে একটু লাজুক হয়ে পড়েন । কখনো কখনো এটি থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের সাথেও সম্পর্কিত হতে পারে।

কখনো কখনো যৌন মিলন ব্যর্থ হয়, প্রজন্ম বিকরন ইচ্ছা শর্তেও, অপর্যাপ্ত শারীরিক শারীরিক কার্যকলাপের কারণে। কিন্তু আপনি জানেন কি? এমন একটি সবজি আছে যা আমাদের যৌন শক্তিকে প্রায় তিনগুণ করে দিতে পারে। এইসব লিটি প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে থাকে। সেটা হচ্ছে পেঁয়াজ। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজের রস টেস্টোস্টেরনের হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে যৌনতার প্রতি আপনার ইচ্ছা এবং আবেগকে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করবে।

হরমোন বিশেষজ্ঞ এলিজা ভিটির মতে, সময়ের সাথে সাথে, পেঁয়াজের রস ধীরে ধীরে লিবিডো বাড়াতে পারে এবং আপনার প্রজনন অঙ্গকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। প্রতিদিন সকালে মধুর সাথে সামান্য মাখনের ভাজা পেঁয়াজ কুচি খেলে যৌন শক্তি তিনগুণ বেড়ে যাবে।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url